শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের কণ্যা শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র এজাহারনামীয আসামি শফিকুল ইসলাম’কে পতেঙ্গার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার কাজীর গলি থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
র্যাব-৭ মিডিয়া সেন্টার ঃ চট্টগ্রাম
ভুক্তভোগী ভিকটিম শিশু (৬) এর পরিবার এবং আসামি শফিকুল ইসলাম (৩৬) চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন টিএসপি কলোনি এলাকায় পাশাপাশি রুমে বসবাস করে আসছিল। ভিকটিমের পিতা পেশায় একজন দিনমজুর এবং মা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে সকাল ০৭০০ ঘটিকায় ভিকটিম এবং তার ভাইকে নিজ বাসায় রেখে ভিকটিমের বাবা-মা প্রতিদিনের ন্যায় নিজ নিজ কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পিতা মাতার অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম (৩৬) ভিকটিমকে একা পেয়ে চকোলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাইয়া তার রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে৷ পরবর্তীতে একজন প্রতিবেশী ভিকটিমকে আসামি শফিকুল ইসলাম এর বাসার সামনে কান্নারত অবস্থায় দেখিতে পেয়ে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাকে কোন জবাব না দিয়ে ভিকটিম অনবরত কান্না করতে থাকে। পরবর্তীতে বিকাল ৪ঃ৪৫ ঘটিকায় ভিকটিমের মা বাসায় এসে মেয়েকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তখন সে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে।
উক্ত ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০৪, তারিখ- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং ২০২০) এর ৯(১)।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার একমাত্র পলাতক আসামি শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার কাজীর গলি এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ৩: ৪০ ঘটিকার সময় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি শফিকুল ইসলাম (৩৬), পিতা- শামসুল হক, সাং- মহজুমপুর, থানা- ময়মনসিংহ সদর, জেলা- ময়মনসিংহ, বর্তমানে- টিএসপি কলোনির গলি, থানা- ইপিজেড, চট্টগ্রাম মহানগরী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষণের ঘটনা সত্য বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ইপিজেড থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।